হরমোনাল ইমব্যালেন্স

 শারীরিক মানসিক নানা সমস্যার ভিড়ে হরমোন-সংক্রান্ত সমস্যাগুলোকে আমরা এড়িয়ে যাই। তবে আমাদের শারীরিক মানসিক নানা কর্মসম্পাদনে এই হরমোন শুধু সাহায্যই করে না, এদের যেকোনো একটি পরিবর্তন আমাদের শরীরের পুরো প্রক্রিয়াকেই বাধাগ্রস্ত করে

হরমোন কী?

হরমোন আমাদের এন্ড্রোনিক গ্রন্থিতে জন্ম নেয়। এটি রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোনায় পরিবাহিত হয় এবং খাবারের ইচ্ছা, আবেগ, এমনকি মানসিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে। শরীরের এই হরমোনে পরিবর্তন আসতেই পারে। পিরিয়ড, মাতৃত্ব এবং অন্যান্য আরও কারণে এই ব্যাপারটি ঘটতে পারে। তবে আপনার শরীর যদি অনেক দিন ধরে একটানা কম হরমোন উৎপন্ন করতে থাকে, তাহলে একটা সময় আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই, ব্যাপারটিকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়াটা এক রকম বোকামিই বলা চলে

হরমোনের অস্বাভাবিকতার লক্ষণ        

আপনার শরীরে যদি কোনো কারণে হরমোনের পরিমাণ কম বা বেশি হয়ে যায়, তাহলে শরীর নিজ থেকেই সেটার লক্ষণগুলো জানান দিতে থাকে। এমন কিছু হরমোনাল ইমব্যালেন্সের লক্ষণ হলো

  • ত্বকে পরিবর্তন আসা 
  • কোনো কাজে মনোযোগ না দিতে পারা 
  • ঘুমোতে সমস্যা হওয়া 
  • নখ চুলের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়া  
  • মাথাব্যথা করা 
  • ক্ষুধা পিপাসা বৃদ্ধি পাওয়া 
  • হতাশা, উদ্বিগ্নতা এবং মানসিক অবস্থা বারবার পরিবর্তিত হওয়া 
  • যৌন সংস্পর্শে অনীহা চলে আসা 
  • হুট করে ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া 
  • চুল পড়ে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া 
  • নারী পুরুষের শরীরে হরমোনের

প্রকৃতি পরিমাণ ভিন্ন হওয়ায় লক্ষণও কিছুটা ভিন্ন দেখা যেতে পারে। পুরুষদের বেলায় ক্ষেত্রে শরীর মুখমণ্ডলের চুলে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। ছাড়া মাংসপেশি কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এবং গাইনিকোমাস্টিয়ার মতো সমস্যাগুলোও দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে, মেয়েদের বেলায় দেখা দিতে পারে মাসিকের চক্র অনিয়মিত হওয়া, শরীরে মুখে চুলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, স্তনে ব্যথা হওয়া এবং যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি

হরমোনাল ইমব্যালেন্স কেন হয়?

মানুষের শরীরের হরমোন মাঝেমধ্যে নির্দিষ্ট সময় পর পরিবর্তিত হয়। নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। প্রিমেনুস্ট্রেয়াল সিনড্রোমের কারণে এমনটা বেশি হয়ে থাকে। তবে ছাড়া, থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত কম বা বেশি কাজ করা, কুশিং সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, টিউমার, হরমোন থেরাপি, মানসিক চাপ, খাবারে কোনো ডিসঅর্ডার হওয়া এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের মতো ব্যাপারগুলোর কারণে এমনটা হতে পারে

খাবার হরমোনের মধ্যকার সম্পর্ক

খাবার কীভাবে আমাদের শরীরের হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে সেটা দেখার জন্য অনেক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে এরই মধ্যে।হরমোন ডায়েটনামে পরিচিত এই খাবার। মাছ, সবজি এবং চর্বি ছাড়া মাংস গ্রহণ করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর শরীরের হরমোন স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে আসে বলে মনে করা হয়। ঠিক উল্টোভাবে দেখতে গেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার হরমোনের অবস্থান খুব অস্বাস্থ্যকর পর্যায়েও নিয়ে যেতে পারে

হরমোনাল ইমব্যালেন্স ঠিক করে ফেলার অন্যান্য পদ্ধতি

খাবারের মাধ্যমে তো বটেই, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের মাধ্যমেও হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে সারিয়ে তুলতে পারেন আপনি

Biospray Plus হরমোনাল ইমব্যালেন্স  স্বাভাবিক করে আপনার শরীরকে করে প্রাণবন্ত। 

Biospray Plus পেতে যোগাযোগ করুন 

(সরাসরি অথবা কোরিয়ার )

Name:Md Sagor Hossain
Mobile:01314-881407

 


0 Comments