অনেকে ধারনা করেন জরায়ুর টিউমার মানেই ক্যানসার যা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাফি এক অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এর মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরের অনেক রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। এক্সরেতে শরীরে যে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এক্ষেত্রে তা নেই। এখন তো গ্রামেগঞ্জে হাতুড়েরাও আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দিচ্ছে। এরকমই এক হাতুড়ের পরামর্শ মতো এক মহিলা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে রিপোর্ট দেখলেন যে তার জরায়ুতে ফাইব্রয়েড টিউমার। রাতে ঘুম নেই। সাধারণের অনেকেরই, বিশেষ করে মহিলাদের ধারণা, টিউমার মানেই ক্যানসার। হাতুড়েও বলল টিউমার যখন ক্যানসারই হবে।

জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা সায়োমা। সাধারণত প্রজননক্ষম বয়সে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের টিউমার দেখা দেয়। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যান্সার নয়।অনেক সময় গাত্রে বা জরায়ু গহ্বরে নানা ধরনের টিউমার সৃষ্টি হতে পারে। এর আকার মটরকলই থেকে আধা কেজি পর্যন্ত এবং এক সাথে ৮-১০টি পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কোনো টিউমার থেকে পুঁজ রক্ত বের হতে পারে আবার কোনো কোনো টিউমার থেকে এ জাতীয় স্রাব নাও হতে পারে। একে Fibroma Myoma/Fibroid Myoma বলে।

 

#লক্ষণ :
১. বহুদিন স্থায়ী ঋতু, পেট কেটে ফেলার ন্যায় বেদনা, কাটা বর্ণের প্রদর স্রাব। অতি দুর্গন্ধযুক্ত প্রদর হয়।২. শীর্ণতা, তৎসহ যথেষ্ট ক্ষুধা ও পিপাসা।৩. জরায়ুতে জারাকর বেদনা, পেট ফাঁপা, মূত্ররোধ।৪. প্রচুর পরিমাণে বহু দিন স্থায়ী ঋতু স্রাব৫. ফুসকুড়ির মতো টিউমার, সঙ্গমকালে বেদনা।৬. অত্যধিক শিরা স্ফীত, ঋতুস্রাবের পর প্রচুর ঘাম।৭. ঋতুর আগে ও পরে প্রচুর কালো দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব।৮. জরায়ুর মধ্যস্থ সৌত্রিক টিউমার হতে রক্ত স্রাব তৎসহ পেটে বেদনা। প্রাথমিক অবস্থা থেকেই লক্ষণ দেখে চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়.

 

তবে দুটো সমস্যার কারণে সুচিকিৎসা দরকার। এক. এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে। দুই, এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ধারণা সব সময় সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। কেননা ২৫ শতাংশ ফাইব্রয়েড টিউমার আজীবন কোনো সমস্যাই করে না। মোটামুটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কমবেশি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অনিয়মিত মাসিক বা তলপেট ভারী বোধ হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হয়।


২৭ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কেবল এটি বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি নিচের ঘটনাগুলো ঘটে:

১. যদি ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়, ২. জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না, ৩. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়।

যাঁদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে বা বারবার গর্ভপাত হচ্ছে, তাঁদের ফাইব্রয়েড থাকলেও বন্ধ্যাত্বের অন্য কারণগুলোকে শনাক্ত করা উচিত। কারণ, মূল সমস্যাটি ফাইব্রয়েড না-ও হতে পারে। মায়োমেকটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার দরকার হোক বা না হোক, কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।

যেমন: ১. এই অস্ত্রোপচারে বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। ২. অস্ত্রোপচারের পর আবার ফাইব্রয়েড হওয়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ ভাগ। ৩. অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ। এটি নির্ভর করে ফাইব্রয়েড টিউমারের সংখ্যা, আকার এবং অস্ত্রোপচারের সফলতার ওপর। ফাইব্রয়েড অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণ করলে অবশ্যই ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।


#করনীয়:
কিছুদিন পূর্বেও জরায়ু টিউমার হলে অস্ত্রোপচার করতে হতো। কিন্তু বায়ো টেকনোলজি চিকিৎসার মাধ্যমে এখন আর অস্ত্রোপচার এর প্রয়োজন হয় না।

 

 বায়ো টেকনোলজীর একটি প্রডাক্ট হচ্ছে বায়ো স্প্রে প্লাস। বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারে জরায়ু টিউমার, জরায়ু ক্যান্সার সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয় এবং পরবর্তী সময়ে এটা আর ফিরে আসে না। নিয়মিত খাদ্যাভাস ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে সব শারীরিক সমস্য সমাধান করা যায়।

 

বায়োস্প্রে প্লাস এর ব্যবহারবিধি

১. জিহবার নিচে ৩/৫ বার স্প্রে করে ২ মিনিট মুখ বন্ধ করে রাখুন। এর পরে গিলে ফেলুন।

২. ৩/৫ মিনিট পর দুই গ্লাস পানি পান করুন।

৩. প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে নিয়মিত দুইবার ব্যবহার করুন।

নিয়মিত ব্যবহারে একটি বোতল প্রায় ৩০ দিন বা ১ মাস ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে।

বায়োস্প্রে প্লাস প্রোডাক্টটির মূল্য: ৭০০০ টাকা


আজই যোগাযোগ করুন
পণ্যটি পেতে সরাসরি কল করুন:

মো সাগর হোসাইন: 01314-881407

সারা দেশে কোরিয়ার যোগে পাঠানো সম্ভব।

0 Comments