এস্ট্রোজেন হরমোন (Estrogen Hormone)কি ? মহিলাদের দেহে এস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব।
এস্ট্রোজেন হল মহিলাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। মহিলাদের ওভারি হতে এস্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন হয়।মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়) হরমোন সংকেত যাবার মাধ্যমে এটির সূচনা ঘটে। ফলশ্রুতিতে গোনাড বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয় এবং যৌন অনুভূতি বা আকর্ষণ ইত্যাদি মহিলাদের বেলায় ইস্ট্রোজেন গ্রোফের হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । পুরুষ- মহিলা উভয়ের বেলায় জনন তন্ত্রের সকল সঠিক উদ্দীপনা, কাঠামো এবং বংশ বিস্থার সব কিছুই খুভি সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । এই হরমোন সমূহের কম হলে যে রকম সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনি বেশী হলে ও বিপরীত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে ।
এস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যাবলী
 জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ
বজায় রাখে মাতৃত্ব টিস্যুর উন্নতি করে আবেগ ও মেজাজ ক্রিক ক্লিমেকটারি হতে উৎপন্ন
সমস্যা সমূহের প্রতিরোধ করে,
 শরীরের পেশীর স্বাস্থ বর্ধনে নিশ্চয়াতা দেয়। স্থিতি-স্থাপকতা
সংরক্ষণের এবং পরিমিত রস নিঃসরণে (যৌনি, ধমনী এবং চর্ম) শরীরের পেশী সসমূহ নরম ও আকর্ষণীয়
করে তোলে
এস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবে যা হয়:
 মেয়েলি  অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের
বিকাশ লাভ হয় না অনিয়মিত মাসিক ও লিউকোরিয়া হয় হার ক্ষয় ও বাতের ব্যথা হয় মাথার
চুল ঝরে যায়,
 প্রস্রাবের সমস্যা হয়  হজম ক্রিয়া ও যৌন চাহিদা হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে
হয় হৃদ রোগ ও ব্রেইন ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়ে 
ত্রথ্রোক্লোরোসিসকে  কে ত্বরান্বিত করে যা হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক ও প্যারালাইসিস
এর অন্যতম কারণ চামড়ার কোলাজেন কমে বলিরেখা পড়ে। একজন মেয়েকে মেয়েলি দিক থেকে বিকশিত
কড়তে এস্ট্রোজেন এর ভূমিকা রাখে।
 পুরুষের শরীরে অল্প পরিমাণ এস্ট্রোজেন থাকে এটি নারী-পুরুষ
উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ
 কিন্তু পুরুষের শরীরে বেশি পরিমাণ এস্ট্রোজেন উপস্থিতি
একটি ইমব্যালেন্স যা একজন পুরুষকে কণ্ঠস্বর চিন্তা-চেতনা চলাফেরা সবকিছুর মেয়েলি করে
তোলে।
যে সকল ভেষজ থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টারন হরমোন পাওয়া যায় তাহাকে পাইটোইস্ট্রোজেন বলা হয় এবং ইহা দুই ধরণের , lignans and isoflavones। । এ পর্যন্ত ৩০০ অধিক ভেষজ খাবারে পাইটোইস্ট্রোজেন পাওয়া গেছে – তার মধ্যে জলপাই পাতার নির্যাস – দুধ কাঁটাগাছের কান্ডের নির্যাস – মেন্থল – গোল মরিচ – ব্ল্যাক টি- কালো আখরোট- সয়া-শস্য, শিমের বিচি, মটর বিচি এবং সবচেয়ে বেশী পাইটোইস্ট্রোজেন পাওয়া যায় — সয়া দুধ, ইবিনিং প্রমিজ ওয়েল (Evening Primrose Oil ) এবং জংলী ইয়াম – wild yam ( যা দেখতে আলুর মত তবে অনেক বড় হয় – ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এক একটি, বেশী হয় আফ্রিকা এবং অ্যামেরিকা মহাদেশে বা বর্তমানে এর উন্নত চাষাবাদ করা হইতেছে ) – প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ তৈরি হয়েছে – এই জংলী ইয়াম থেকে অর্থাৎ প্রজেস্টারনের পরিমাণ খুভ বেশী আছে বিধায় ।এ ছাড়া খাবারের মাধ্যমে – যে সব খাবার খেলে পরোক্ষ্য ভাবে হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে -তা হলঃ-
– সয়া দুধ – ছাগল এবং গরুর দুধ -বাদাম, চেরি, ক্যারট, শসা, খেজুর, পেঁপে, আলো,চাল, লাল মাংস ( পাখী বা হাসের মাংস ) ধনিয়া এবং টমেটো ইত্যাদি।
এরকম
আরো অনেক রোগ আছে যা মহিলাদের চাপা কান্নার কারণ হয়ে  দাঁড়ায়। এস্ট্রোজেন হরমোনের ইমব্যালেন্স কিন্তু
সাধারণ কোনো চিকিৎসায় এই রোগ নিরাময় হয় না আবার কেউ লজ্জায়  বলতে ও পারে না সেই সকল মা বোনদের জন্য আল্লাহর
এক অশেষ নেয়ামত “একটা ফুড সাপ্লিমেন্টের
কথা বলবো”
বায়ো স্প্রে প্লাস।  
এর
উছিলায় ১০০% তারা এই সকল রোগ থেকে মুক্তি পাব।
 
 
0 Comments