গ্যাংগ্রিন, মাংসের পচন এর চিকিৎসা
গ্যাংগ্রিন, মাংসের পচন এর চিকিৎসা
ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পায়ের আলসার বা ক্ষত-ঘা। সাধারণত নতুন জুতা ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায়ই তাদের পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগার ফলে যাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের ঘা আর শুকায় না বরং সেটি গ্যাংগ্রিনে পরিণত হয়। সহজ কথায় গ্যাংগ্রিন মানে হলো পঁচন। সাধারণত শরীরের কোন স্থানে ঠিক মতো রক্ত সাপ্লাই না হলে সেখানকার টিস্যু বা মাংস পচেঁ যায়। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর কোন ভালো চিকিৎসা নাই। অপারেশন করে কেটে ফেলাই তাদের একমাত্র চিকিৎসা কিন্তু অপারেশনে গ্যাংগ্রিন তো সারেই না; বরং ধীরে ধীরে তা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে। এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা গ্যাংগ্রিন হলে প্রথমে আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়। তারপর গ্যাংগ্রিন যখন আরো বাড়তে থাকে, তখন ডাক্তাররা পায়ের গোড়ালী পযর্ন্ত কেটে ফেলে দেয়। তারপর হাটু পযর্ন্ত এবং শেষে কোমর পযর্ন্ত কেটে ফেলে দেয়। এই ধরণের বর্বর চিকিৎসার কারণে গ্যাংগ্রিনের যে-কোন রোগী সাধারণত অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তবে সম্পূর্ণ ভাবে #গ্যাংগ্রিনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা আপনাদের একটা ফুড সাপ্লিমেন্টের কথা বলবো যাতে রোগী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। একজন গ্যাংগ্রিন রোগীর ভিডিও দেখুন :
আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত যে, ছুরি-চাকু দিয়ে কখনও রোগ সারানো যায় না। অপারেশনের মাধ্যমে কেবল রোগের ফলটা কিছু দিনের জন্য দূর করা যায় ঠিকই কিন্তু এতে মূল রোগটির গায়ে সামান্য ফুলের আচড়ও লাগে না। ফলে মূল রোগটি কিছুদিন পরপর বার বার ফিরে আসতে থাকে। যেহেতু অপারেশনের ফলে রোগী দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে, ফলে রোগীর দুর্বলতার সুযোগে মূল রোগটিও দিন দিন শক্তিশালী হতে থাকে। অজ্ঞতার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসার নামে যে কতো রকমের বর্বরতা এবং ব্যবসায়িক ফন্দির অসহায় শিকারে পরিণত হয়, তা ভাবলে সত্যি বিবেক দংশন করতে থাকে ।
গ্যাংগ্রিন মানে হলো শরীরের কোন একটি অংশে রক্ত সরবরাহ না থাকার কারণে সেখানকার মাংস পঁচে যাওয়া। ইহা যদিও শরীরের যে-কোন স্থানে দেখা দিতে পারে, তথাপি গ্যাংগ্রিন সবচেয়ে বেশী দেখা দেয় হাতের এবং পায়ের আঙুলে। রক্তনালীর রোগ, বড় ধরণের এক্সিডেন্ট, মাত্রাতিরিক্ত টাইট ব্যান্ডেজ, ডায়াবেটিস প্রভৃতি কারণে গ্যাংগ্রিন হয়ে থাকে।
===========================
===========================

0 Comments