হাড়ের ক্ষয় রোগ, কারন, চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ
হাড়ের ক্ষয় রোগ, কারন, চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ
পুষ্টিহীনতা সমস্যার অন্যতম ফল হচ্ছে ডিজেনারেশন অফ
বোন বা হাড়ের ক্ষয়। মহিলারা এই
রোগে বেশি আক্রান্ত হন।
অস্টিওপোরোসিস বলতে বোঝায় ছিদ্রযুক্ত হাড়। এতে
হাড় নরম হয়ে যায়, যাতে একটু বাঁকা হওয়া, হালকা জিনিস ওঠানো কিংবা কাশির মতো সামান্য চাপেও তা ভেঙে যেতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেহে থেকে ক্যালসিয়াম , ফসফেট এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের পরিমাণ কমলেই হাড় দুর্বল হয়। অস্টিওপোরোসিস অন্যান্য গ্রন্থিগত (এন্ডোক্রাইন) রোগের কারণে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও হতে পারে।
লক্ষণঃ
হাড় ক্ষয়ের প্রথম দিকে ব্যথা বা
অন্য লক্ষণ দেখা দিতে নাও পারে। কিন্তু একবার অস্টিওপোরোসিস হলে
যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
১. কোমরের পেছনে ব্যথা, বিশেষকরে মেরুদন্ডে, নিতম্বে, পাঁজর কিংবা কব্জিতে, যা কিনা ভাঙা বা জোড়া লাগা (স্পন্ডিলাইটিসের) মেরুদণ্ডের ক্ষেত্রে আরো তীব্র হতে
পারে।
২. ধীরে ধীরে উচ্চতা কমতে থাকে।
৪. পিঠে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
৫. মেরুদণ্ড হাতে কবজি, কোমরসহ অন্যান্য হাড়ে ফ্র্যাকচার ইত্যাদি।
৬. মাংসে ব্যথা।
৭. গিঁটে ( জোড়ায় জোড়ায় ) ব্যথা।
কারণঃ
হাড়ের শক্তি নির্ভর করে এর আকার এবং ঘনত্বের ওপর। অনেক ক্ষেত্রেই এই
ঘনত্ব আবার নির্ভর করে হাড়ের ভেতরকার ক্যালসিয়াম, ফসফেট এবং
অন্যান্য খনিজ পদার্থের ওপর। এদের পরিমাণ কমতে থাকে, তখন
হাড়ের ভেতরের শক্তি কমে যেতে থাকে।
দেহের হাড় প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে অর্থাৎ নতুন হাড় তৈরি হচ্ছে এবং পুরনো হাড় ভেঙে যাচ্ছে। এই
প্রক্রিয়াকে বলে হাঁড়ের পুনর্গঠন (রিমডেলিং বা
টার্ন ওভার)।
হাড়ের একটি পুনর্চক্র সম্পন্ন হতে সময় লাগে দুই থেকে তিন
মাস। তরুণ অবস্থায় অতি দ্রুত নতুন হাড় তৈরি হয়,
ফলে হাড়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু বয়স ত্রিশের পর
থেকে হাড়ের পুনর্গঠিত হয়
ঠিকই, কিন্তু বৃদ্ধির চেয়ে ক্ষয় বেশি হয় বলে হাড় দুর্বল হতে থাকে।
রজঃনিবৃত্তির (মেনোপজ) সময় যখন মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে,
তাই সে সময় দেহে হাড়ের ক্ষয় তুলনামূলক বেশি বেড়ে যায়। যদিও হাড় ক্ষয় হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও, রজঃনিবৃত্তিকালীন মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে
যাওয়া।
যা হাড়কে সবল
করেঃ
নিম্নোক্ত বিষয় তিনটি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব
প্রয়োজনীয়-
* নিয়মিত ব্যায়াম
* পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম
* পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি দরকার যা
ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে।
শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির
(বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক এম নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৩ শতাংশ লোক অস্টিওপ্রোসিস
রোগে ভুগছেন। বয়সকালে হাড়ে দুর্বলতা ও ক্ষয়রোধে শিশুকাল থেকেই হাড়ের সঠিক যত্নের ব্যাপারে সচেষ্টা হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, হাড়ের সমস্যা এড়াতে শিশুকাল থেকেই সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে এবং উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি শরীর চর্চা করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল অস্টিওপ্রোসিস
ফাউন্ডেশনের (আইওএফ) এক রিপোর্টে বলা হয়, দেশের অন্তত ৩ লাখ ৮০ হাজার লোক হাড়ের রোগে ভুগছেন। বক্তারা বলেন, পুরুষদের অন্তত ৫ জনের ১ জন এবং নারীদের ৩ জনের মধ্যে ১ জন জীবনের শেষের দিকে অস্টিওপোবেসিসের
কারণে হাড় ক্ষয়ের রোগে ভোগেন।
বিভিন্ন ধরনের বাত যেমন: জোড়াসন্ধির ও কমরের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা, হাঁড়ের ব্যথা, মাত্র ৬মাসে নিরাময় করে।
বায়ো স্প্রে প্লাস Bio Spray
Plus একটি ডায়েটারি ফুড সাপ্লিমেন্ট যা ১০০% কার্যকরী।
হাঁড় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ও গঠন প্রক্রিয়া সঠিক রাখে।
নিচে কয়েকজন রোগীর সাক্ষাৎকার দেয়া হলো :



0 Comments